দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে করোনা মোকাবিলায় তৈরী 'ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফাণ্ডে' স্কলারশিপ থেকে পাওয়া পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিল সৌম্যদীপ পাল। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের বামিরা গ্রামের সৌম্যদীপ পাল শুক্রবার স্থানীয় বিডিও প্রসন্ন কুমার মুখোপাধ্যায়ের হাতে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
ছোটো থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সৌম্যদীপ পাল ২০১৫ সালে ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিক পাশ করে। বর্তমানে বর্ধমান রাজ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দু'দফায় পাওয়া স্কলারশিপের টাকা থেকে একটা অংশ সে রাজ্যের করোনা মোকাবিলা তহবিলে তুলে দিল। সৌম্যদীপ পালের এই ভাবনায় খুশি পাত্রসায়রের বিডিও প্রসন্ন কুমার মুখোপাধ্যায় নিজেও।
খুশি সৌম্যদীপের বাবা নবকুমার পালও। নিজের সামান্য জমিতে চাষাবাদের উপর নির্ভর করেই দৈনন্দিন সংসার খরচ ও ছেলের পড়াশুনা খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নবকুমার বাবু এবিষয়ে বলেন, করোনা আতঙ্কে ভূগছে সারা দেশ। করোনা তহবিলে নিজের স্কলারশিপের টাকা দিতে চায় জেনে না করতে পারিনি। তিনি ভীষণ খুশি হয়েছেন জানিয়ে আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে স্কলারশিপের পাওয়া টাকা থেকেই ঐ টাকা সে জমা দিল। বাবা হিসেবে ছেলের জন্য যথেষ্ট গর্বিত বলেই তিনি জানিয়েছেন।
সৌম্যদীপ পালের কথায়, এই জটিল আর কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই সাধ্যমতো সাহায্য করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের মতো করে রাজ্যের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজেদের মতো করে এই বিপর্যয়ের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন সে জানিয়েছে ।