নিজের স্কলারশিপ এর টাকা মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিল বাঁকুড়ার মেধাবী পড়ুয়া

17th April 2020 বাঁকুড়া
নিজের স্কলারশিপ এর টাকা মুখ‍্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিল বাঁকুড়ার মেধাবী পড়ুয়া


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে করোনা মোকাবিলায় তৈরী 'ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফাণ্ডে' স্কলারশিপ থেকে পাওয়া পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিল সৌম্যদীপ পাল। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের বামিরা গ্রামের সৌম্যদীপ পাল শুক্রবার স্থানীয় বিডিও প্রসন্ন কুমার মুখোপাধ্যায়ের হাতে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

   ছোটো থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সৌম্যদীপ পাল ২০১৫ সালে ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিক পাশ করে। বর্তমানে বর্ধমান রাজ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দু'দফায় পাওয়া স্কলারশিপের টাকা থেকে একটা অংশ সে রাজ্যের করোনা মোকাবিলা তহবিলে তুলে দিল। সৌম্যদীপ পালের এই ভাবনায় খুশি পাত্রসায়রের বিডিও প্রসন্ন কুমার মুখোপাধ্যায় নিজেও।

   খুশি সৌম্যদীপের বাবা নবকুমার পালও। নিজের সামান্য জমিতে চাষাবাদের উপর নির্ভর করেই দৈনন্দিন সংসার খরচ ও ছেলের পড়াশুনা খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নবকুমার বাবু এবিষয়ে বলেন, করোনা আতঙ্কে ভূগছে সারা দেশ। করোনা তহবিলে নিজের স্কলারশিপের টাকা দিতে চায় জেনে না করতে পারিনি। তিনি ভীষণ খুশি হয়েছেন জানিয়ে আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর থেকে স্কলারশিপের পাওয়া টাকা থেকেই ঐ টাকা সে জমা দিল। বাবা হিসেবে ছেলের জন্য যথেষ্ট গর্বিত বলেই তিনি জানিয়েছেন।

   সৌম্যদীপ পালের কথায়, এই জটিল আর কঠিন পরিস্থিতিতে সবাই সাধ্যমতো সাহায্য করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের মতো করে রাজ্যের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজেদের মতো করে এই বিপর্যয়ের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন সে জানিয়েছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।